বাংলামেইল প্রতিবেদন: বাগেরহাট জেলা পরিষদ সদস্য আব্দুল জলিল ও মংলা থানার ওসি শামসুদ্দিনের বিরুদ্ধে বাড়ি দখল করে নেয়া ও মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার অভিযোগ করেছেন মংলাপোর্ট পৌর যুবলীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা শামিমা ইয়াসমিন জুঁই।
বুধবার (৯ আগস্ট) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে ওই অভিযোগ করেন মেরিন ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল গফুর ও যুবলীগ নেত্রী জুঁই দম্পতি।
লিখিত বক্তব্যে ওই দম্পতি জানান, তাদের মালিকানাধীন মংলা পোর্টের শামসুর রহমান রোড এলাকায় তিন কাঠা জমির উপর ৪০ লাখ টাকা মূল্যের বাড়ি দখলে নেওয়ার জন্য বাগেরহাট জেলা পরিষদ সদস্য আব্দুল জলিল ও থানার ওসি শামসুদ্দিনের যোগশাজসে শাহনাজ বেগম শাহানা নামক বিতর্কিত চরিত্রের এক মহিলাকে দিয়ে আমার বাড়ি দখল করিয়ে নেয়া হয়েছে।
এর আগে গত মে মাসের ৬ তারিখে ওই নারী তার লোকজন নিয়ে আমাদের উপর হামলা চালালে আমরা থানায় মামলা করি। মামলা করার পরও পুলিশ তাদেরকে আটক করেনি। উল্টো ওই ঘটনার এক সপ্তাহ পরে বিবাদীকে দিয়ে আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করে হয়রানি করছে। বাগেরহাট জেলা পরিষদ সদস্য আব্দুল জলিল ও ওসি শামসুদ্দিন বাগেরহাটের আরেক নারীকে দিয়ে তাদের স্বাক্ষর জাল করে নকল স্ট্যাম্প বানিয়ে আদালতে চাকরির নামে টাকা আত্মসাৎ এর মত মিথ্যা মামলা দায়ের করে আটকাদেশ বের করে। ওই সময় ওসি অতি উৎসাহী হয়ে পেশায় মেরিন ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল গফুরের কোমরে দড়ি বেঁধে সমগ্র মংলা পৌর এলাকায় ঘুরিয়ে নিজস্ব ফেসবুক প্রোফাইল ও বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে লাইভ সংবাদ প্রচার করে। এসব বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট প্রতিকার দাবি করেন তারা।
এ বিষয়ে বাগেরহাটের পুলিশ সুপার কে এম আরিফুল হক মুঠো ফোনে বলেন, যে কেউ অভিযোগ করতেই পারে। অভিযোগ করলেই তো আর সত্য হয় না। আমরা তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিব বলে জানান তিনি।