পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই শিক্ষকদের সড়ক অবরোধ
পুলিশের টিয়ার শেল, লাঠি পেটা ও জল কামান ব্যবহার
- আপডেট সময় : ০৩:৪৬:৫৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৫ ১৪০ বার পড়া হয়েছে
নিজস্ব প্রতিবেদক : কোন ধরনের পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের সড়ক অবরোধ করেছে। এতে সকাল থেকে বাংলাদেশ সচিবালয় ও আশেপাশের এলাকায় যানজটে পড়ে চরম দুর্ভোগে পড়ে সাধারণ মানুষ। পরে বেলা দেড়টার দিকে পুলিশ টিয়ার শেল, লাঠি পেটা ও জল কামান ব্যবহার করে রাস্তা অবরোধমুক্ত করলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, তোপখানা সড়ক থেকে শিক্ষক-কর্মচারীদের সরে যেতে ডিএমপির রমনা বিভাগের উপ পুলিশ কমিশনার মাসুদ আলম বারবার অনুরোধ জানান। কিন্তু পুলিশের আহ্বান উপেক্ষা করে শিক্ষকরা রাস্তা অবরোধে অনড় থাকে। পরে পুলিশ শিক্ষক কর্মচারীদের উপর মৃদু লাঠিচার্জ করেছে। এসময় কয়েকটি রাউন্ড সাউন্ড গ্রেনেড ও জলকামান ছুড়েছে। পুলিশের হস্তক্ষেপে সড়কটিতে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। কোন ধরণের পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই এভাবে সড়ক দখল করে দাবি আদায়ের পদ্ধতি বেছে নেয়ায় চরম বিরক্তি প্রকাশ করেছেন অনেকে। এ সময় তারা পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে আসা সাংবাদিকদের সঙ্গেও রূঢ় আচরণ করে।
শিক্ষকদের হাতে বুলিংয়ের শিকার একাধিক সাংবাদিক যুগান্তরকে বলেন, পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে জাতীয় প্রেসক্লাবে গাড়ি নিয়ে প্রবেশ করার সময় শিক্ষকদের রাস্তা দেয়ার অনুরোধ করলে তারা তার সঙ্গে রূঢ় আচরণ করেন।
জানা গেছে, রোববার সকাল ৮টা থেকে মূল বেতনের ২০ শতাংশ বাড়িভাড়া দেওয়াসহ তিন দফা দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অবরোধ কর্মসূচি শুরু করেন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা। এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোট এই কর্মসূচির আয়োজন করে। তবে তারা প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচির ঘোষণা দিয়ে সড়ক অবরোধ করে। তাদের অন্য দুটি দাবি হলো শিক্ষক ও কর্মচারী উভয়ের জন্য চিকিৎসা ভাতা ১৫০০ টাকা করা এবং কর্মচারীদের উৎসব ভাতা ৭৫ শতাংশ করা।
জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আন্দোলনকারী শিক্ষকদের পুলিশ ছত্রভঙ্গ করে দিলে তারা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান নেয়। সেখানে এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা তাদের প্রতি সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য দেন। সংগঠনের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন আজিজী সোমবার সকল এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্ম বিরতির ঘোষণা দেন। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে বলেও জানান তিনি।






