পটুয়াখালীর আদালত চত্বর থেকে অপহরণের পর আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃক উদ্ধার হওয়ার পর অভিযোগ দেয়ার ১ মাসেও মামলা দায়ের করেনি পুলিশ। উল্টো সন্ত্রাসীরা ওই ব্যবসায়ী ও পরিবারের সদস্যদের হত্যা করার হুমকি দিচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর বঙ্গ বাজারে ফুলবাড়িয়া পশ্চিম আনন্দবাজার পঞ্চায়েত ব্যবসায়ী সমিতির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন সংগঠনের সভাপতি এডভোকেট মিজানুর রহমান।
লিখিত বক্তৃতায় তিনি বলেন,
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পরে গত ৫ ই আগস্ট থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে এক শ্রেণীর সন্ত্রাসী মহল ঘরবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাঙচুর ও লুটপাটে লিপ্ত রয়েছে। এদের কর্মকাণ্ডে বর্তমান অন্তবর্তী কালীন সরকার বিব্রত বোধ করছে এবং দেশের যে অর্জন আর সুনাম নষ্ট হইতেছে। আমরা আরো দুঃখের সঙ্গে জানাইতেছি যে আমাদের অত্র ব্যাবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এম এ খায়ের মোল্লা বাচ্চুর মালিকানাধীন পটুয়াখালী জেলার কুয়াকাটার “রোজ ভ্যালি মোটেল এন্ড রিসোর্ট “গত ৫ই আগস্ট পটুয়াখালী সদর এর লোহালিয়া গ্রামের মৃত আঃ কদেরের ছেলে দুই সহোদর
সন্ত্রাসী জসিম সিকদার ওরফে রানা ও কবির শিকদার স্থানীয় ১০০/১৫০জানের একটি সঙ্গবদ্ধ দুষ্কৃতিকারী দল রোজভেনি হোটেল ভাঙচুর ও লুটপাট করে। এরই ধারাবাহিকতার কোর্টে মিথ্যা মামলা দায়ের করে। এমএ খায়ের মোল্লা কোর্টে জবাব দাখিলের জন্য গত ১৮ সেপ্টেম্বর পটুয়াখালী জজকোর্ট চত্বর থেকে অপহরণ করে পটুয়াখালী সদরের অদূরে তার নিজ এলাকার নির্জন বিল অঞ্চলে আটকে রাখে। পরের দিন জেলা ডিবি পুলিশ শহরের সিসি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ ধরে অপহরণে ব্যবহৃত জসিম শিকদার রানার সাদা রংয়ের প্রাইভেট কার ঢাকা মেট্রো গ-২৩-৩০৩৮ ড্রাইভার সহ আটক করে পটুয়াখালী সদর থানায় নিয়ে আসে। এই সূত্র ধরে ডিবি পুলিশ সন্ত্রাসী রানাকে বিভিন্নভাবে চাপ দিয়ে ব্যবসায়ি খায়ের মোল্লাকে মৃত্যুর দুয়ার থেকে জীবিত উদ্ধার করে। অপহরণের দিন রাতে সন্ত্রাসীরা ব্যবসায়ী খায়ের মোল্লাকে শারীরিকভাবে ব্যাপক নির্যাতন চালায় এবং অস্ত্রের মুখে ১২ টি ১০০ টাকা মূল্যের সাদা স্ট্যাম্প ও তিনটি সাদা কাটিজ পেপারে জোরপূর্বক স্বাক্ষর করিয়ে নেয় এবং খায়ের মোল্লার মানিব্যাগে থাকা বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক বিজয়নগর শাখার একটি চেকে জোরপূর্বক পাঁচ কোটি টাকা লিখে স্বাক্ষর করিয়ে নেয়। এর পর ওই সন্ত্রাসী চক্র মোটা অংকের চাঁদা দাবি করে আসছে চাঁদা না দিলে হোটেল দখলসহ ব্যবসায়ী এম এ খায়ের মোল্লা ও তার পরিবারকে জীবনে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে। হুমকির কারণে এম এ খায়ের মোল্লা পটুয়াখালী কোটে আইনি সহযোগিতাও নিতে ভয় পাচ্ছেন। উক্ত ঘটনার আমরা সকল এলাকাবাসী ‘র পক্ষ থেকে তীব্র নিন্দা জানাই এবং বর্তমান সরকারের যথাযথ প্রশাসনের নিকট উক্ত সন্ত্রাসী চক্রের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী খায়ের মোল্লা ও তার পরিবারের সদস্যসহ পঞ্চায়েত নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে পটুয়াখালীর পুলিশ সুপার মোঃ আনোয়ার জাহিদ যুগান্তরকে বলেন, বিষয়টি আমার নলেজে নেই, খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।