প্রতিবেদক: চট্টগ্রাম বন্দর থেকে নৌপথে পণ্য পরিবহনে সিরিয়াল অনুযায়ী জাহাজ চালাতে ঐক্যমত্যে পৌঁছেছে জাহাজ মালিকদের মধ্যে বিবাদমান তিনটি সংগঠন।
মঙ্গলবার (২ মার্চ) চট্টগ্রামের আগ্রাবাদের একটি হোটেলে সমুদ্র পরিবহন অধিদপ্তরের উদ্যোগে এবং চট্টগ্রামের সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র আ,জ,ম নাসির উদ্দিনের মধ্যস্থতায় বিবাদমান সংগঠন বাংলাদেশ কার্গো ভেসেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন, কোয়াব ও আইবোয়াকের মধ্যে ওয়াটার ট্রান্সপোর্ট সেলের মাধ্যমে একই সিরিয়াল ভিত্তিক জাহাজ চালানোর জন্য সমঝোতা হয়।যৌথ সমঝোতা বৈঠকে বিগত দিনের সমস্ত ভুল ত্রুটি ভুলে পূর্বের ন্যায় তিনটি সংগঠন একত্রে সমস্ত যা সিরিয়াল ভুক্ত হয়ে চলাচলের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। দীর্ঘদিনের বিবাদ মিটে যাওয়ায় জাহাজ মালিকরা উষ্মা প্রকাশ করেছেন।
বাংলাদেশ কার্গো ভেসেল অনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি জি এম সরোয়ার বলেন, জাহাজ মালিকদের তিনটি সংগঠন একত্রে দীর্ঘ ২৫ বছর যাবত ওয়াটার ট্রান্সপোর্ট সেলের মাধ্যমে সমগ্র বাংলাদেশে পণ্য পরিবহন করত। তিন চার মাস আগে সংগঠনের নিজেদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির কারণে ওয়াটার ট্রান্সপোর্ট সেল ভেঙে যায় এবং প্রত্যেকটি সংগঠন আলাদাভাবে সিরিয়াল দেয়ার অপচেষ্টা করে। এতে নৌপথে বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। গুটি কয়েক স্বার্থন্বেষী মহল কিছু জাহাজ দিয়ে প্রতিমাসে দুই-তিনটি টিপ দিচ্ছেন , অপরদিকে হাজার হাজার জাহাজ তিন মাসে একটি ট্রিপ পাচ্ছে না। ওই অসম প্রতিযোগিতায় নৌ সেক্টর ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে চলে গেছে। সাধারণ জাহাজ মালিকরা লাভ তো দূরের কথা, কর্মচারীদের বেতন দিতে না পারায় শত শত জাহাজিস স্ক্যাপে রূপান্তরিত হয়েছে। হাজার হাজার শ্রমিক বেকার হয়ে পড়েছে। মালিকরা বেতন দিতে না পারায় শ্রমিকরা বারবার ধর্মঘট আহবান করেছে। এই সুযোগে কতিপয় পণ্যের এজেন্ট নিজেদের স্বার্থ হাসিলের জন্য নিয়মবুহির্ভূতভাবে সাধারণ জাহাজ মালিকদের কে জিম্মি করে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকার টনের ভাড়া মালিকদেরকে ৪০০-৪৫০ টাকা প্রদান করতেন। অথচ ফ্যাক্টরি মালিক ও আমদানি কারকদের কাছ থেকে পন্যের এজেন্ট ৫ হাজার ৬০০ টাকা প্রতি টন মালের জন্য ভাড়া আদায় করতেন। এই অবস্থা নিরসনের জন্য সমুদ্র অধিদপ্তর পদক্ষেপ গ্রহণ করায় জাহাজ মালিকরা উপকৃত হয়েছেন বলে জানান তিনি।
#এস /আর