প্রতিবেদক: ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান হল উন্নয়নের সবচেয়ে বড় যোগানদাতা। ব্যাংক খাতে সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হলে উন্নয়ন ত্বরান্বিত হয়।
শনিবার (২৩ মার্চ) রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম হলে “ব্যাংকার্স ওয়েলফেয়ার ক্লাব বাংলাদেশ” কর্তৃক আয়োজিত ‘অর্থনৈতিক উন্নয়ন পরিকল্পনায় ব্যাংক ও ব্যাংকারদের ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ব্যাংক হলো উন্নয়নের সবচেয়ে বড় জোগানদার। আমরা সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করছি সেটা আমরা ব্যাংকিং খাতের মাধ্যমে প্রমাণ করেছি। আমাদের ব্যাংকিং খাত ডিজিটাল বাংলাদেশের প্রথম স্তম্ভ স্থাপন করেছে। বাংলাদেশ ব্যাংক এবং ব্যাংকিং খাত মূল্যস্ফীতিকে স্থিতিশীল করে। ব্যাংক হচ্ছে উন্নয়নের সবচেয়ে বড় জোগানদার। এখাতে সুশাসন থাকলে উন্নয়ন ত্বরান্বিত হয়।
ড. আতিউর রহমান বলেন, আমাদের দেশে কৃষক থেকে শুরু করে সর্বস্তরের মানুষের ব্যাংক একাউন্ট রয়েছে। আমাদের গ্রামে-গঞ্জে সাব ব্রাঞ্চ আছে। আমাদের অনলাইন ব্যাংকিং চলছে। আমাদের ডিজিটাল ব্যাংকিংয়ের অংশ হিসেবে মোবাইল ব্যাংকসহ মোট ১৭কোটি একাউন্ট রয়েছে। আমাদের এজেন্ট ব্যাংকিং সবজায়গায় বিরাজমান। বাংলাদেশে যত ব্যাংক আছে সব ব্যাংকের মালিক হচ্ছে আমানত কারীরা এবং সেই আমানতকারীদের স্বার্থ দেখে ব্যাংকাররা। সুতরাং সবাইকে সঙ্গে নিয়ে সবধরনের কাজকে এগিয়ে নিতে হবে।
পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শহীদুজ্জামান সরকার আলোচনা সভায় উপস্থিত থাকা ব্যাংকারদের উদ্দেশ্যে বলেন, এদেশের মানুষকে ভালো রাখার জন্য মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রনে রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়, পরিকল্পনা কমিশন এগুলো নিয়ে কাজ করে। একটি গভমেন্টের যে লক্ষ্য, গভমেন্ট যেখানে যেতে চায়, সে জায়গায় পৌঁছে দেওয়ার জন্য আপনারা একটি মাধ্যম হিসেবে কাজ করেন। সরকার এ জাতিকে এবং দেশকে যে উচ্চতায় নিয়ে যেতে চায়, সেই উচ্চতায় যাওয়ার জন্য আপনারা সহায়ক ভূমিকা পালন করে আসছেন। আপাদেরকে সেজন্য আমরা সরকারের পক্ষ থেকে অভিনন্দন জানাই।
ব্যাংকার্স ওয়েলফেয়ার ক্লাবের সভাপতি ড. তাপস চন্দ্র পালের সভাপতিত্বে এবং সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক লায়ন হামিদুল আলম সখা’র সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরও বক্তৃতা করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক নির্বাহী পরিচালক ড. আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ।
এস/সি/এম