প্রতিবেদক : ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে বিড়ির শুল্ক বৃদ্ধি না করাসহ ৫ দফা দাবি জানিয়েছে কর্মরত শ্রমিকরা।
সোমবার (১৮ মার্চ) রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত মানববন্ধনে এসব দাবি জানান তারা। প্রাক-বাজেট সভায় অ্যান্টি টোব্যাকো মিডিয়া অ্যালায়েন্স (আত্ম) কর্তৃক বিড়ি শিল্পে শুল্ক বাড়ানোর প্রস্তাবের প্রতিবাদে ওই মানববন্ধনের আয়োজন করে বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশন।
মানববন্ধনে বক্তৃতা করেন, বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনে সভাপতি আমিন উদ্দিন বিএসসি, সাধারণ সম্পাদক মো. হারিফ হোসেন, সহ-সভাপতি নাজিম উদ্দিন, সহ-সভাপতি মো. সাদ আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আক্তার হোসেন প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, দেশের প্রান্তিক শ্রমিকদের বড় একটি অংশ বিড়ি কারখানায় কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে। সমাজের অসহায়, হতদরিদ্র, স্বামী পরিত্যক্তা, বন্যা কবলিত জনগণ, শারীরিক বিকলাঙ্গসহ সুবিধা বঞ্চিত শ্রমিকদের অন্নসংস্থানের একমাত্র মাধ্যম এই বিড়ি শিল্প। কিন্তু বিভিন্ন সময়ে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রে বিড়ি শিল্পে বারবার মাত্রাতিরিক্ত শুল্ক বৃদ্ধি করা হয়েছে। গত ৮ ফেব্রুয়ারি প্রাক-বাজেট সভায় অ্যান্টি টোব্যাকো মিডিয়া এলায়েন্স (আত্মা) বিড়ি শিল্পকে ধ্বংস করতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে প্রতি প্যাকেট বিড়ির মূল্য ১৮ টাকা থেকে বৃদ্ধি করে ২৫ টাকা এবং সম্পূরক শুল্ক ৩০ শতাংশ থেকে ৪৫ শতাংশ করার প্রস্তাব দিয়েছে। যা দেশের লক্ষ লক্ষ সুবিধা বঞ্চিত শ্রমিকের অন্নসংস্থান বন্ধ করে দেওয়ার ষড়যন্ত্র। বিদেশি এজেন্ডা বস্তবায়ন করতে দেশিয় শিল্প ও শ্রমিকদের বিরুদ্ধে সব সময় অবস্থান নিয়ে আসছে আত্মা ও প্রজ্ঞা।
তারা আরো বলেন, বিড়ি শিল্প দেশিয় শ্রমিকবান্ধব শিল্প। অসম শুল্কের ভারে বিড়ি মালিকরা কারখানা বন্ধ করতে বাধ্য হচ্ছে। ফলে বিড়ি কারখানায় নিয়োজিত শ্রমিকরা কর্ম হারিয়ে পরিবার নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে। সুতরাং বিড়ি শিল্প ও শ্রমিকদের টিকিয়ে রাখার স্বার্থে আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে বিড়ির শুল্ক বৃদ্ধি না করা এবং প্রতি প্যাকেট বিড়ির মূল্য ১৮ টাকা থেকে ২ টাকা কমিয়ে ১৬ টাকা করার দাবি জানাচ্ছি।
তাদের দাবিগুলো হলো, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে বিড়ির শুল্ক বৃদ্ধি না করা। প্রতি প্যাকেট বিড়ির মূল্য ১৮ টাকা থেকে ২ টাকা কমিয়ে ১৬ টাকা করা। বিড়ি এবং সিগারেটের অগ্রিম আয়করের বৈষম্য দূর করা। অনলাইন লাইসেন্সধারী বিড়ি ফ্যাক্টরীগুলোকে কমপক্ষে মাসে এক কার্টুন (৫ প্যাকেট) ব্যান্ডরোল উত্তোলন নিশ্চিত করা। নকল বিড়ি উৎপাদন ও বাজারজাতকরণের বিরুদ্ধে কঠোরভাবে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করার দাবি জানান তারা।