নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা : বর্তমান সরকারের সময় শেষের দিকে চলে এসেছে। যাওয়ার সময় হয়ে গেছে। এবার একতরফা নির্বাচন আপনি (প্রধানমন্ত্রী) করতে পারবেন না। নির্বাচন করলে আপনি ফেঁসে যাবেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু। তিনি বলেন,
শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সংগ্রাম পরিষদের উদ্যোগে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি, জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের গুরুত্বের দাবি শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
শামসুজ্জামান দুদু বলেন, খালেদা জিয়াকে সাজা দিয়ে কোর্ট বেকায়দায় পড়ে গেছে। ‘আমেরিকা কোর্টকেও ভিসানীতির আওতায় নিয়ে এসেছে। এ সরকার শেষের দিকে চলে এসেছে। তারা গত ১৫ বছর অনেক খারাপ কাজ করেছে। শেষ সময়ে কিছু ভালো কাজ করলে জনগণের রোষানল থেকে বাঁচতেও পারে। জনগনের দাবির অনুকূলে পরাজয় স্বীকার করা ইতিবাচক। ৯৬ সালে খালেদা জিয়া তা করে দেখিয়েছেন। আন্দোলনের সময় তিনি কেয়ারটেকার মেনে আইন পাশ করে পার্লামেন্ট ভেঙ্গে পদত্যাগ করেছিলেন। যা গনতন্ত্রের ইতিহাসে এক গৌরবজ্জল দৃষ্টান্ত।
তিনি বলেন, গত ১৫ বছরে শেখ হাসিনা গনতন্ত্রের বিরুদ্ধে যে কাজগুলো করেছেন, সেগুলোর দায় স্বীকার করে নিতে হবে। তাহলে হয়তো জনগণের ক্ষোভ থেকে রক্ষা পেতে পারেন। আরেকটা কারনে বাঁচতে পারেন। যদি আমেরিকা থেকে সরাসরি খালেদা জিয়ার বাসায় যান, এতে লজ্জার কিছু নেই। বলবেন, যা হওয়ার হইছে, আসেন সব ঠিক করি।
দুদু বলেন, মনে রাখতে হবে, বিপদ ধেয়ে আসছে। আমার ৫০ বছরের রাজনৈতিক জীবনে এতো সংকটময় সময় দেখিনি। একবার যদি আগুন লেগে যায়, মানুষ যদি রাস্তায় নেমে পড়ে, তাহলে ভয়ংকর পরিস্থিতি তৈরি হবে। পুলিশ তার থানা ছেড়ে পালাবে, প্রশাসন তার ঘর ছেড়ে পালাবে। আর ক্ষমতাবানরা তাদের চেহারা পরিবর্তন করতে পারে। বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আমেরিকায় অনিরাপদ বোধ করছেন বলে জানিয়েছেন। এর একমাত্র সমাধান তত্বাবধায়ক সরকার।জেদ ধরে লাভ নাই, নির্বাচন আপনি করতে পারবেন না। নির্বাচন করলে আপনি ফেঁসে যাবেন।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি গোলাম সরোয়ার সরকারের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান মাহমুদের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপি চেয়াপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের রহমাতুল্লাহ, ইকবাল হোসেন শ্যামল প্রমুখ।