বাংলামেইল প্রতিবেদন : উড়াল সেতু (এলিডেভিট এক্সপ্রেসওয়ে) যুগে প্রবেশ করেছে দেশ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শনিবার ( ২ সেপ্টেম্বর ) বিকাল সাড়ে তিনটায় দেশের প্রথম উড়াল সড়কটির রাজধানীর কাওলা থেকে তেজগাঁও অংশ উদ্বোধন করেন। উপলক্ষে রাজধানীর শেরেবাংলা নগর সাবেক বাণিজ্য মেলার খেলার মাঠে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সঙ্গে জনতার ঢল নামে।
শনিবার বিকাল ৫টার দিকে রাজধানীর আগারগাঁও শেরেবাংলা নগরে পুরাতন বাণিজ্য মেলার মাঠে সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমার কাজ একটাই। বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করা। যে অন্ধকার যুগ ছিল, সে অন্ধকার যুগ থেকে বাংলাদেশের মানুষকে আলোর পথে যাত্রা শুরু করা। আমরা যে ওয়াদা দিয়েছি, একে একে সেই ওয়াদা আমি পূরণ করেছি। সে কারণেই কবি সুকান্তের ভাষায় বলতে চাই, ‘যতক্ষণ দেহে আছে প্রাণ, প্রাণপণে পৃথিবীর সরাব জঞ্জাল, এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি- নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।’
তিনি আরো বলেন, প্রতিটি সেক্টরে এই ১৫ বছরে যে উন্নয়ন হয়েছে, আজকে বাংলাদেশ বিশ্বের কাছে উন্নয়নের রোল মডেল। আজকে বিশ্ব তাকিয়ে থাকে অবাক হয়ে। আমাদের তো সীমিত সম্পদ, কিন্তু জাতির পিতা বলেছিলেন, ‘স্বাধীনতার পর জাতির পিতাকে অনেক আন্তর্জাতিক সংস্থা জিজ্ঞাসা করেছিল- আপনার দেশে তো কোনো সম্পদ নাই, আপনি দেশ কি দিয়ে গড়বেন। জাতির পিতা বলেছিলেন- আমার মাটি আছে, আমার মানুষ আছে, আমার মাটিতে সোনা ফলে, আমার সোনার মানুষ আছে তাই দিয়ে আমি দেশ গড়ব’। আমরা তাই দিয়ে দেশ গড়ে যাচ্ছি। রাজধানীর সঙ্গে সারা বাংলাদেশের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে দেশের মানুষকে ‘আরেকটি নতুন উপহার দিয়ে গেলেন’ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আজ ঢাকা এলিভেটেট এক্সপ্রেসওয়ে পিপিপি প্রকল্পের হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর হতে তেজগাঁও পর্যন্ত অংশের উদ্বোধন কিছুক্ষণ আগেই আমি করেছি। এটা আপনাদের উপহার হিসেবে দিয়ে গেলাম।’
দেশের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা দরকার উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন,অগ্নিসন্ত্রাস-খুন-গুম-হত্যা অনেক কিছুই আমরা দেখেছি। সেগুলোর উত্তরণ ঘটিয়ে বাংলাদেশ ইনশাআল্লাহ এগিয়ে যাচ্ছে। এগিয়ে যাবে।
এর আগে বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে রাজধানীর বিমানবন্দরের পাশে কাওলা টোল প্লাজায় টোল দিয়ে বহুল প্রত্যাশিত স্থাপনা ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের ফলক উন্মোচন মঞ্চে ওঠেন প্রধানমন্ত্রী। বোতাম চেপে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসেওয়ের উদ্বোধন করেন তিনি।
এ সময় বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ রেহানা, সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সেতু সচিব মো. মনজুর হোসেন এবং ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের প্রকল্প পরিচালক এএইচএমএস আকতার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সুধী সমাবেশে মিছিলসহ আওয়ামী লীগ
ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের কয়েক লাখ নেতা কর্মী যোগ দেয়। এসব মিছিলের মধ্যে অর্ধলাখ নেতাকর্মী নিয়ে গণমিছিল নিয়ে যোগদেন বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গাজী গোলাম দস্তগীর প্রতি বীর প্রতীক। ঢাকা ২ আসনের সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের মন্ডলীর সদস্য এডভোকেট কামরুল ইসলামের ব্যানারে বিশাল মিছিল নিয়ে সুধি সমাবেশের যোগদান করেন। এছাড়া নেত্রকোনার দুর্গাপুরের আওয়ামী লীগ নেতা ইঞ্জিনিয়ার নজরুল ইসলাম কয়েক হাজার নেতা কর্মী নিয়ে অংশগ্রহণ করে। রাজধানীর পল্টন থানা আওয়ামী লীগ নেতা মোস্তফা জামান পপিসহ টাঙ্গাইল, মুন্সিগঞ্জ, নরসিংদী কুমিল্লা ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ, গোপালগঞ্জ, ফিরোজপুর, বরিশাল, মাদারীপুর, শরীয়তপুর, গৌরীপুর উপজেলা , কটিয়াদী উপজেলা আওয়ামী লীগ, সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামী লীগ, রাজাবাজার শেরেবাংলা নগর থানা আওয়ামী লীগ ও সকল জেলা উপজেলা, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ, , মগবাজার, বাড্ডা, উত্তর আওয়ামীলীগ, কামরাঙ্গীরচর যাত্রাবাড়ী লালবাগ বংশাল থানা আওয়ামী লীগ,মোহাম্মদপুর থানা জাতীয় শ্রমিকলীগ, নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ, ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ, আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ যুবলীগ সহ অন্যান্য সহযোগী সংগঠনের নাতো কর্মীরা সুধী সমাবেশে অংশগ্রহণ করেন।