বাংলামেইল প্রতিবেদন : সদ্য মন্ত্রী পরিষদে অনুমোদন হওয়া সাইবার সিকিউরিটি আইনটিও গণমাধ্যমের টুঁটি চেপে ধরতে প্রণয়ন করা হয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে) একাংশ।
বুধবার (৯ আগস্ট) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ওই আইন বাতিলের দাবী জানিয়ে বিক্ষোভ সমাবেশে সাংবাদিক নেতারা এসব কথা বলেন।
ডিইউজের সভাপতি শহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথি বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজ) সাবেক মহাসচিব রুহুল আমিন গাজী।
তিনি বলেন, সাংবাদিকদের তথা গণমাধ্যমের টুটি চেপে ধরতে সরকার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের নাম বদলিয়ে সাইবার সিকিউরিটি আইন প্রণয়ন করেছে। ওই আইনে কয়েকটি ধারার মধ্যে শাস্তির তারতম্য ঘটলেও মূল বিষয় একই রয়ে গেছে। বর্তমান সরকারের ক্ষমতাকে পাকাপোক্ত করার জন্য এবং লুটেরাদের বিরুদ্ধে যেন সাংবাদিকরা কথা না বলতে পারে, যেন লিখতে না পারে এজন্যই ওই আইনটি প্রত্যাহার করা হচ্ছে না। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বিষয়ে দেশের সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবী, মানবাধিকার সংস্থা ও আন্তর্জাতিক মহলের বারবার উদ্বেগের পরেও ওই আইনটির খোলস পাল্টিয়ে তা উপস্থাপন করা হয়েছে সে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি কামাল উদ্দিন সবুজ বলেন, সরকার আজ পর্যন্ত কোন সাংবাদিক হত্যার বিচার করতে পারেনি। কোন সাংবাদিক নির্যাতনের বিচার করতে পারেনি। তবুও বারবার সাংবাদিকদের কণ্ঠরোধ করার জন্য আইন প্রণয়ন করে যাচ্ছে। একের পর এক কালো আইনের মাধ্যমে সাংবাদিকদের তথা দেশের মানুষের বাক স্বাধীনতাকে হরণ করে যাচ্ছে। তিনি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও সদ্য প্রণীত সাইবার সিকিউরিটি আইন সহ সকল কালা কানুন বাতিলের দাবি জানান তিনি ।
সমাবেশ বক্তব্য রাখেন, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আব্দাল আহমদ, সাবেক সহ-সভাপতি আমিরুল ইসলাম কাগজি, বিএফইউজের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোদাব্বের হোসেন, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি কাদের গণি চৌধুরী, সাবেক সিনিয়র সহ সভাপতি শাহীন হাসনাত, বর্তমান সাধারণ সম্পাদক খোরশেদ আলম। যুগ্ম সম্পাদক দিদারুল আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক সাহিদ খান, কোষাধ্যক্ষ আলমগীর হোসেন, বিএফইউজের কোষাধ্যক্ষ খাইরুল বাশার, ডিইউজের দপ্তর সম্পাদক ইকবাল মজুমদার তৌহিদ ও নির্বাহী সদস্য আবু বকর, ডিইউজের নির্বাহী সদস্য এম মোশাররফ হোসাইন প্রমূখ।