বাংলামেইল প্রতিবেদন : বীর মুক্তিযোদ্ধা, সাংবাদিক সংগঠক,বিএফইউজে ও অবিভক্ত ডিইউজের সাবেক মহাসচিব এবং সভাপতি প্রয়াত শাহজাহান মিয়া ব্যক্তি জীবনে একজন অমায়িক মানুষ ছিলেন। পাশাপাশি নেতৃত্বগুনে ছিলেন অসাধারণ। সাংবাদিকদের স্বার্থে ছিলেন অকুতোভয় এবং নির্ভীক একজন নেতা। তিনি পেশার মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় আমৃত্যু কাজ করে গেছেন বলে মন্তব্য করেছেন সাংবাদিক নেতারা।
সোমবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে) ও বিএফইউজে – বাংলাদেশ ফেডারেশন সাংবাদিক ইউনিয়ন আয়োজিত প্রয়াত নেতা শাহজাহান মিয়া স্মরণে শোকসভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তেব্য প্রধানমন্ত্রীর সাবেক তথ্য বিষয়ক উপদেষ্টা সাংবাদিক নেতা ইকবাল সোবহান চৌধুরী বলেন, সাংবাদিকতা জীবনের শুরুতেই বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের সশস্ত্র যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন এম শাহজাহান মিয়া। পেশাদার সাংবাদিক হিসেবে পেশাগত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি সাংবাদিকদের রুটি-রুজির আন্দোলনে অগ্রসৈনিক ছিলেন তিনি। সাংবাদিকতার এই সঙ্কটকালে তাঁর মতো একজন সাংবাদিক ও নেতার খুব প্রয়োজন ছিলো। তার মৃত্যুতে যে শূণ্যতা সৃষ্টি হলো তা সহসাই পূরণীয় হওয়ার নয়। এম শাহজাহান মিয়ার কর্মময় জীবন আগামী প্রজন্মকে সাংবাদিকতা ও রুটি-রুজির আন্দোলনে উজ্জ্বীবিত করবে।
জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও দৈনিক যুগান্তরের সম্পাদক সাইফুল আলম বলেন, শাহজাহান মিয়া অনাড়ম্বর জীবন যাপন করে আমাদের মাঝে দৃষ্টান্ত স্থাপন করে গেছেন। তাঁর জীবন ও কর্মের বিষয়ে আরো ব্যাপক গবেষণা হতে পারে। তিনি ছিলেন একজন ন্যায়নিষ্ঠ সাংবাদিক। পাশাপাশি নেতৃত্ব অবিচল একজন মানুষ। তিনি কখনোই অন্যায়ের কাছে মাথা নত করেননি। আমরা তাঁর কর্মকে এগিয়ে নিতে পারলেই শাহজান মিয়ার অপূর্ণ কাজগুলো সমাপ্ত হবে।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, নেতা হিসেবে শাহজাহান মিয়া কখনো ইউনিয়নকে ব্যক্তিগত স্বার্থ ও সম্পত্তি অর্জনের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেননি। তিনি সাধারণ সাংবাদিকদের পাশে থেকে আমৃত্যু কাজ করে গেছেন। তিনি অবিভক্ত ইউনিয়নের সর্বোচ্চ পদে অসীম হয়েও ব্যক্তিগত জীবনে ছিলেন সাদা মনের মানুষ। তিনি পেশার মর্যাদা কে সবার আগে সম্মান দিয়েছেন কোন ধরনের অপশক্তির কাছে তিনি মাথা নত করেননি ।
বিএফইউজের সভাপতি ওমর ফারুক-এর সভাপতিত্বে শোক সভা সঞ্চালনা করেন ডিইউজের সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসেন। বিএফইউজের সাবেক সভাপতি ইকবাল সোবহান চৌধুরী, সাবেক সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, সাবেক সভাপতি মনজুরুল আহসান বুলবুল, বিএফইউজের সাবেক মহাসচিব আব্দুল জলিল ভূইয়া, ডিইউজে সভাপতি সোহেল হায়দার চৌধুরী, বিএফইউজের সহ-সভাপতি মধুসূদন মন্ডল, বিএফইউজের কোষাধ্যক্ষ খায়রুজ্জামান কামাল, ডিইউজের সাবেক সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদ, ডিইউজের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আজিজ ভুইয়া, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম। সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সুভাষ চন্দ বাদল, ডিইউজের সহ সভাপতি মানিক লাল ঘোষ, যুগ্ম সম্পাদক খায়রুল আলম, কোষাধ্যক্ষ আশরাফুল ইসলাম, নির্বাহী পরিষদ সদস্য ইবাহীম খলিল খোকনসহ অন্যান্য সাংবাদিকরা।