নিজস্ব প্রতিবেদক : জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ পুত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা ক্যাপ্টেন শেখ কামালের ৭৪তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা, দোয়ার আয়োজন করে ঢাকা জেলা প্রশাসন। শনিবার বিকেলে রাজধানীর বিয়াম ফাউন্ডেশনের হলরুমে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অথিতির বক্তেব্য ঢাকা জেলা প্রশাসক মো. আনিসুর রহমান বলেন, শেখ কামালের আদর্শ বুকে ধারণ করতে হবে। মনে প্রাণে তাকে ধারণ করলেই প্রতিটি মানুষ আদর্শ মানুষ হিসেবে গড়ে উঠবে।
তিনি বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর জ্যেষ্ঠ পুত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা ক্যাপ্টেন শেখ কামাল তরুন বয়সে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয়ার পাশাপাশি তিনি একাধারে একজন রাজনৈতিক, সমরবিদ ও সুনিপুন ক্রীড়া সংগঠক ছিলেন। ব্যাক্তিজীবনে ছিলেন স্মাট , ব্যাবহারে ছিলেন আমায়িক একজন মানুষ।আদর্শে ছিলেন বলিয়ান। প্রধানমন্ত্রীর সন্তান হয়েও অর্থবিত্তের প্রতি তার কোন লোভ ছিলনা। তিনি মুক্তিযুদ্ধকালীন মুক্তিবাহিনীর প্রধান সেনাপতি জেনারেল ওসমানীর এডিসি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি আরো বলেন, শেখ কামাল ছিলেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ ক্রীড়া সংগঠক। খেলাধুলায় রয়েছে তার সবচেয়ে বড় আবদান। টুঙ্গীপাড়া থেকে ঢাকায় আসার পর শৈশবে সেগুনবাগিচা নর্থ-সাউথ রোড ও বিজয় নগরের মাঝের মাঠটিতে খেলাধুলা করতেন তিনি। ১৯৬৭-৬৮ এর দিকে মোহাম্মদপুরের লালমাটিয়ায় একটি মাঠে খেলতেন। তিনি ধানমন্ডি মাঠেও খেলাধুলা করতেন। এলাকায় তখন শিশু ও তরুণদের জন্য তিনি আবাহনী সমাজ-কল্যাণ সংস্থা গড়ে তোলেন, পরে মুক্তিযুদ্ধ থেকে ফিরে এসে ১৯৭২ সালে ‘আবাহনী ক্রীড়াচক্র’ প্রতিষ্ঠা করেন। স্বাধীনতা উত্তর পরিস্থিতিতে তরুণ সমাজকে অবক্ষয়ের হাত থেকে রক্ষা করতে এবং নিয়ম-শৃঙ্খলার মধ্যে ফিরিয়ে আনতে তিনি এমন মহতী উদ্যোগ গ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানে শেখ কামালের জন্মদিন উপলক্ষে দোয়া মাহফিলে বঙ্গবন্ধু পরিবারের শহীদ সদস্যদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া মোনাজাত করা হয় । অনুষ্ঠানে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রনালয়ের উদ্যোগে ১০ ব্যাক্তির হাতে গাছের চারা ও বিভিন্ন অংকের যুব ঋনের চেক তুলে দেন জেলা প্রশাসক আনিসুর রহমান। এ সময় জেলা প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তার উপস্থিত ছিলেন।