নিজস্ব প্রতিবেদক : সংবিধানের আলোকে আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন অবাধ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন করার দাবি জানিয়েছেন গণতান্ত্রিক জোট বাংলাদেশ। বুধবার জাতীয় সমাজ কল্যাণ পরিষদের হলরুমে জোটের আত্মপ্রকাশ উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এসব দাবি করেন ডেমোক্রেটিক পার্টির চেয়ারম্যান ও জোটের সমন্বয়ক এসএম আশিক বিল্লাহ।
মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, সম্প্রীতির বাংলাদেশ, শান্তি, গণতন্ত্র ও উন্নয়নের রাজনীতিতে বিশ্বাসী ‘গণতান্ত্রিক জোট বাংলাদেশ’ জোটের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়ে তিনি বলেন, ২০২৩ সালের ডিসেম্বর অথবা ২৪ সালের জানুয়ারিতে সংবিধান অনুযায়ী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে হবে। সেই লক্ষ্য রেখে সাতটি দল নিয়ে গঠিত হলো ‘গণতান্ত্রিক জোট বাংলাদেশ’। ভবিষ্যতে এই জোটে আরো দলের সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে পারে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী যেকোনো দলের সঙ্গে আমাদের ঐক্য হতে পারে। গণতান্ত্রিক জোটের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য দেশের রাজনৈতিক গুণগতমান পরিবর্তন করা, সুস্থ ধারার রাজনীতি, সম্প্রীতির রাজনীতি, সাম্যের রাজনীতি, দুর্নীতি ও মাদক বিরোধী রাজনীতি আগামী নির্বাচনে এ জোটের পক্ষ থেকে ৩০০ আসনে প্রার্থী দেয়া হবে ইনশাল্লাহ। গণতান্ত্রিক জোট বাংলাদেশের দলগুলো হলো- ডেমোক্রেটিক পার্টি, বাংলাদেশ জাতীয় লীগ, প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক জোট পিডিএ, গণধিকার পার্টি, বাংলাদেশ ন্যাশনাল রিপাবলিকান পার্টি, বাংলাদেশ প্রতিবাদী জনতা পার্টি ও জাতীয় কৃষক শ্রমিক পার্টি।
জোটের আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, কাজী আরেফ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান কাজী মাসুদ আহমেদ। উপস্থিত ছিলেন ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রেসিডিয়াম মেম্বার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোশাররফ হোসেন, বাংলাদেশ জাতীয় লীগের চেয়ারম্যান মাহাবুবুল আলম, প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক জোটের চেয়ারম্যান মো. মাইনুদ্দীন চৌধুরী, গণধিকার পার্টির চেয়ারম্যান সর্দার মো. আব্দুস সাত্তার, বাংলাদেশ ন্যাশনাল রিপাবলিকান পার্টির চেয়ারম্যান মো. ইউসুফ পারভেজ, বাংলাদেশ প্রতিবাদী জনতা পার্টির চেয়ারম্যান মো. ওমর ফারুক ও জাতীয় কৃষক শ্রমিক পার্টির মহাসচিব মো. ইব্রাহিম খলিল প্রমুখ।