নিজস্ব প্রতিবেদক : ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রিন্সিপাল সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল-মাদানী বলেছেন, সরকার দেশকে পরিকল্পিতভাবে সংঘাতের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। এজন্য বিরোধী দলের কর্মসূচিকে বানচাল করতে একই দিন পাল্টা সমাবেশের মাধ্যমে পরিস্থিতিকে উস্কে দিচ্ছে। তারা কথিত শান্তি সমাবেশের নামে জনগণের মাঝে আতঙ্ক সৃষ্টি করছে। এ ধরনের কর্মসূচির মাধ্যমে সংঘাত সৃষ্টির পাশাপাশি জনদুর্ভোগ তৈরি করা হচ্ছে।
বুধবার বিকেলে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক জরুরি সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন দলের মহাসচিব প্রিন্সিপাল মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলাম, সহকারি মহাসচিব মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ ও মাওলানা ইমতিয়াজ আলম, কেএম আতিকুর রহমান, মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম, মাওলানা লোকমান হোসাইন জাফরী, মাওলানা এবিএম জাকারিয়া, মাওলানা নেছার উদ্দিন, অধ্যাপক সৈয়দ বেলায়েত হোসেন, মাওলানা খলিলুর রহমান, মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাকী প্রমুখ।
সভায় আগামীকাল ২৭ জুলাই ২০২৩, বৃহস্পতিবার, বেলা ৩টায় অনুষ্ঠিতব্য প্রতিবাদ সমাবেশের স্থান পরিবর্তন করে রাজধানীর পুরানা পল্টনস্থ ইসলামী আন্দোলনের অফিস চত্বরে (নোয়াখালী টাওয়ারের সামনে) আয়োজনের সিদ্ধান্ত হয়। বায়তুল মোকাররম উত্তর গেটে পুলিশ প্রশাসন অনুমতি না দেয়ায় অফিস চত্বরে সমাবেশ করার এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
উল্লেখ্য যে, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতী ফয়জুল করীম শায়খে চরমোনাই বক্তব্য প্রদানকালে পুলিশের বাধা ও অসৌজ্যমূলক আচরণের প্রতিবাদ, ব্যর্থ নির্বাচন কমিশন বাতিল, সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন (চ.জ) পদ্ধতির প্রবর্তন, বিদ্যমান রাজনৈতিক সংকট সমাধানে এ প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।
সভায় বলা হয়, রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন সাংবিধান স্বীকৃত মৌলিক অধিকার। শান্তিপূর্ণ এবং একান্ত ঘরোয়া কর্মসূচি পালনেও সরকার বাধা দিচ্ছে। দেশ ক্রমেই সংঘাতের দিকে এগুচ্ছে। বিদ্যমান সঙ্কট থেকে মুক্তির একমাত্র উপায় জাতীয় সরকারের অধীনে একটি সুষ্ঠু ও গ্রহনযোগ্য নির্বাচন। এজন্য সরকার যত তাড়াতাড়ি পদত্যাগ করবে দেশ, জাতি ও ইসলামেরর ততই মঙ্গল হবে।