বাংলামেইল71, ঢাকা : পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে রাজধানী থেকে ঘর মুখো মানুষের সাচ্ছ্যন্দে ঈদ যাত্রা নিশ্চত করতে ঢাকা নদী বন্দরে শতাধিক বিলাসবহুল লঞ্চ প্রস্তুত রয়েছে। শনিবার সদরঘাটে কোন ধরনের ভিড় ছাড়াই যাত্রীরা গন্তব্যে যাত্রা করছে।
শনিবার ঢাকা নদী বন্দরে দেখা গেছে, লঞ্চ টার্মিনাল, পন্টুনে কোন ধরনের ভিড় নেই। লঞ্চগুলোতে যাত্রীরা চাহিদা মত আসন সংগ্রহ করে যাত্রা করছে। তবে অধিকাংশ লঞ্চের কেবিনগুলো অগ্রিম বুকিং হয়ে গেছে। ভোলার ইলিশা ও চাঁদপুর রুটে প্রতি ঘন্টায় লঞ্চ ছেড়ে যাচ্ছে। ইলিশা রুট ডেক যাত্রী প্রতি পাঁচশত সিঙ্গেল কেবিন এক হাজার ডাবল কেবিন ২হাজার ও ভিআইপি কেবিন ৫ হাজার টাকা ভাড়া নেয়া হচ্ছে। যাত্রীরা স্বাচ্ছ্যন্দে ভ্রমণ করতে পেরে খুশি বলে জানিয়েছেন একাধিক যাত্রী
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আগামী সোমবার অফিস ছুটির পর সদরঘাটে যাত্রীচাপ কিছুটা বাড়তে পারে। চলতি ঈদে ৩০ লাখ যাত্রী নৌ পথে যাতায়াত করবে। যাত্রীদের নিরাপত্তা বিবেচনায় বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কতৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) সঙ্গে নৌপুলিশ,র্যাব, কোস্টগার্ড ও সেচ্ছাসেবকরা কাজ করছে বলে জানান তারা।
ভোলাগামী যাত্রী মনির হোসেন নামে একজন যাত্রী যুগান্তরকে বলেন, সদরঘাট পর্যন্ত আসতে কিছুটা কষ্ট হলেও সদরঘাটে নেমে আগের মত ভিড় চোখে পড়েনি। তাছাড়া পরিবার নিয়ে ছুটি হওয়ার দুই দিন আগে রওনা হয়েছেন। সময় মত কেবিন বুঝে পেয়েছি। ঈদ যাত্রাটা আনন্দদায়ক হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
জানা গেছে, রাজধানীর সদরঘাটের ঢাকা নদী বন্দর থেকে দেশের ৪১ টি নৌ রুটে দেড় শতাধিক লঞ্চ চলাচল করতো। কিন্তু দক্ষিণাঞ্চলে পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর থেকে কয়েকটি নৌরুট বন্ধ হয়ে যায়। বর্তমানে শুধুমাত্র ঢাকা- ইলিশা ও ঢাকা-চাঁদপুর নৌ রুট জমজমাট রয়েছে। তাছাড়া অন্যান্য রুটগুলোর লঞ্চ কোনমতে টিকে রয়েছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
এ বিষয়ে ঢাকা নদী বন্দরের যুগ্ম পরিচালক (ট্রাফিক) মোঃ কবির হোসেন বলেন, যাত্রীদের ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে সকল ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। তবুও টার্মিনাল বা লঞ্চে কোন রকম সমস্যা হলে বিআইডব্লউটিএ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তা নেয়ার অনুরোধ জানান তিনি।