বাংলামেইল প্রতিবেদক : ক্ষুদে বিজ্ঞানীদের উদ্ভাবন নিয়ে প্রদর্শনীতে কেউ তৈরি করেছে ফায়ার ফাইটিং রোবট, কেউবা তৈরি করেছেন স্মার্ট সিকিউরিটি সিস্টেম, আবার কেউবা তুলে ধরেছে কলকারখানা ও রাস্তায় গাড়ির ধোঁয়াসহ বিভিন্ন কারণে পরিবেশ দূষণ, জলাবদ্ধতা থেকে পরিত্রাণ, আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি ও প্রযুক্তি কুফল থেকে শিক্ষার্থীদের রক্ষায় নানা উপকরণ। এসব দেশের প্রযুক্তি ব্যাপক হারে ছড়িয়ে দিতে ও বাণিজ্যিক ব্যবহারের আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার মোঃ সাবিরুল ইসলাম।
রোববার সকাল থেকে রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালায় ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয় ও জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরের আয়োজনে দু’দিনব্যাপী ঢাকা বিভাগীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মেলা -২০২৩ এর উদ্বোধন কালে ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার এ আহবান জানান।
“স্মার্টফোনে আসক্তি: পড়াশোনার ক্ষতি” এ স্লোগানকে সামনে রেখে মেলায় ঢাকা বিভাগের ১৩টি জেলার স্কুল, কলেজ, ইনস্টিটিউট পড়ুয়া বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞান বিষয়ক দেড় শতাধিক প্রকল্প নিয়ে হাজির হয়েছে ক্ষুদে বিজ্ঞানীরা।
শিক্ষার্থীরা মেলায় স্মার্ট এগ্রিকালচারাল সিস্টেম, রেইন ওয়াটার ম্যানেজমেন্ট, নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ, শেখ রাসেল স্মার্ট সিটি, স্মার্ট সিকিউরিটি সিস্টেম, অটোমেটিক গ্লাস এন্ড ফায়ার সেফটি সিস্টেম, পর্যবেক্ষণ বিমান, নিরবিচ্ছিন্ন রেলওয়ে যোগাযোগ, ঝুঁকিহীন নিরাপদ গ্যাস সিলিন্ডার, আপনার কোথায় চলবে আপনার ঘর, ট্রেড লাইসেন্স ডিজিটালাইজেশন ও স্মার্ট ডিজিটাল বাংলাদেশসহ বিভিন্ন ধরনের অভিনব এবং নতুন নতুন প্রযু্ক্তি তুলে ধরেন বিজ্ঞান মেলার প্রথমদিনে।
মেলার উদ্বোধন শেষে ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার মো. সাবিরুল ইসলাম বলেন, বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তি শিক্ষার বিবেচনায় আমরা নির্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারিনি। বিভিন্ন কারণে বিজ্ঞান ও গণিত শিক্ষায় ছাত্ররা আগ্রহ হারাচ্ছে। ফলে বিজ্ঞানের ভবিষ্যৎ নিয়ে বাংলাদেশ অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থা রয়েছে। তাই সরকার স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানে এখন থেকে প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে বিজ্ঞানমনস্ক করে গড়ে তোলার জন্য নানামুখী কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। এসব দেশীয় প্রযুক্তি ব্যাপক হারে ছড়িয়ে দিতে ও বাণিজ্যিক ব্যবহারের আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার।
কেএম/পবিত্র