বাংলামেইল৭১ প্রতিবেদন: শ্রমিক কল্যাণবান্ধব চা শিল্প গড়ে তোলার জন্য চা বাগান মালিকসহ সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহবান জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
শনিবার (৩ জুন) মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে টি রিসোর্ট এন্ড মিউজিয়ামের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ টি বোর্ড আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ আহবান জানান।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, প্রতিবছর ঢাকায় চা দিবসের অনুষ্ঠান করলেও এবছর চা শিল্পের সাথে সংশ্লিষ্ট চা বাগান মালিক-শ্রমিকসহ প্রত্যক্ষ অংশীজনদের নিয়ে চায়ের রাজধানী বলে পরিচিত মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে জাতীয় চা দিবসের মূল অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছে।
এসময়, দেশে প্রথমবারের মত চালুকৃত ‘জাতীয় চা পুরস্কার‘ বিতরণ করা হবে জানিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী আট ক্যাটাগরিতে পুরস্কার প্রাপ্তদের নাম ঘোষণা করেন। সেগুলো হলো: (১) একর প্রতি সর্বোচ্চ উৎপাদনকারী চা বাগান- ভাড়াউড়া চা বাগান (২) সর্বোচ্চ গুণগত মানসম্পন্ন চা উৎপাদনকারী বাগান-মধুপুর চা বাগান (৩) শ্রেষ্ঠ চা রপ্তানিকারক-আবুল খায়ের কনজ্যুমার প্রোডাক্টস লি. (৪) শ্রেষ্ঠ ক্ষুদ্রায়তন চা উৎপাদনকারী-মোঃ আনোয়ার সাদাত সম্রাট (পঞ্চগড়) (৫) শ্রমিক কল্যাণের ভিত্তিতে শ্রেষ্ঠ চা বাগান- জেরিন চা বাগান (৬) বৈচিত্র্যময় চা পণ্য বাজারজাতকরণের ভিত্তিতে শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান কাজী এন্ড কাজী টি এস্টেট লি: (৭) দৃষ্টিনন্দন ও মানসম্পন্ন চা মোড়কের ভিত্তিতে শ্রেষ্ঠ চা প্রতিষ্ঠান গ্রিন ফিল্ড টি ইন্ডাস্ট্রিজ লি: (৮) শ্রেষ্ঠ চা পাতা চয়নকারী (চা শ্রমিক)- উপলক্ষী ত্রিপুরা, নেপচুন চা বাগান।
পরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, চায়ের গুণগত মান ঠিক রেখে চা পাতা উত্তোলন, উৎপাদন ও বাজারজাতকরণের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। এ বিষয়ে বিশেষ নজরদারি রাখা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
চা উৎপাদন বৃদ্ধির কারণ সম্পর্কে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, দেশে যেসব চা বাগান রয়েছে সেগুলোতে আগের তুলনায় চা উৎপাদন বেশি হচ্ছে। এছাড়া, দেশের উত্তরাঞ্চলে বিশেষ করে পঞ্চগড়ে মোট উৎপাদনের প্রায় ১৯ শতাংশ চা উৎপাদন হচ্ছে। যে কারণে দেশে দিন দিন চা উৎপাদন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, বর্তমানে দেশে ৯০-৯৫ মিলিয়ন কেজি চায়ের চাহিদা রয়েছে। এ চাহিদা দেশে উৎপাদিত চায়ের মাধ্যমেই পূরণ করা যাচ্ছে। এ বছর দেশে ১০০ মিলিয়ন কেজির বেশি চা উৎপাদন হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, দাম শুধু বাংলাদেশে বৃদ্ধি পেয়েছে এমনটা নয়। সারাবিশ্বে ভোগ্যপণ্যের দাম বেড়েছে। বৈশ্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় অনেক দেশ থেকে আমরা ভালো আছি। নিম্ন আয়ের মানুষের কথা চিন্তা করে সরকার সাবসিডি দিয়ে টিসিবির মাধ্যমে স্বল্পমূল্যে এক কোটি পরিবারের নিকট নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহ করা হচ্ছে এবং এটি অব্যাহত থাকবে বলেও জানান মন্ত্রী।
এসময়, বাংলাদেশ চা বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মো: আশরাফুল ইসলাম এনডিসি, পিএসসিসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রধানগণ উপস্থিত ছিলেন।
বাংলামেইল৭১/কেএম/রাকি