নিজস্ব প্রতিবেদক: ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার ঢেউখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো: মিজানুর রহমান বয়াতির শিশুপুত্র আল রাফসান(১০) কে কুপিয়ে হত্যা ও স্ত্রীকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করা হয়েছে। ঘটনার খবর পেয়ে সদরপুর থানা পুলিশ শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে সদরপুর থানায় নিয়ে যায়।
আজ বুধবার বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে মিজান চেয়ারম্যানের সদরপুর উপজেলার পোষ্ট অফিস এলাকার বাসায় ঢুকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে শিশুপুত্র রাফসান কে কুপিয়ে হত্যা ও তার মা দিল আফরোজ রত্না কুপিয়ে গুরুতর আহত করা হয়।
রক্তাক্ত অবস্থায় মা ও পুত্র কে সদরপুর হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত ডাক্তার রাফসান কে মৃত ঘোষনা করে এবং অবস্থার অবনতি থাকায় রত্না কে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। এ ঘটনায় সদরপুর থানা পুলিশ আসামী কে ধরতে অভিযান চালানো হচ্ছে। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ঘাতক এরশাদ মোল্যা আটরশি টিএনটি টাওয়ারে উপরে উপর থেকে লাফ দিয়ে আত্মহত্যা করে। নিহত এরশাদের লাশ সদরপুর থানা পুলিশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। অপরদিকে এরশাদের ছোট ভাই ইমরান মোল্যা পালিয়ে যাওয়ার সময় ভাংগা উপজেলার আব্দুল্লাবাদ বাজার মোড় থেকে জনতার হাতে ধরা পড়ে গনপিটুনীর শিকার হয়। খবর পেয়ে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে ভাংগা থানায় নিয়ে যায়।
ঢেউখালী ইউনিয়নের মৃত সানু মোল্যার পুত্র এরশাদ মোল্যা এ হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে বলে জানিয়েছেন নিহতের মা রত্না।
যে কারনে এ হত্যা, প্রাথমিকভাবে ভাবে জানা গেছে, গত সোমবার সকালে সদরপুরে ঘাতক এরশাদ মোল্যার পারিবারিক দ্বন্ধের আপোষ মিমাংসার জন্য শালিশ বৈঠক হয়। ওই শালিশে ইউপি চেয়ারম্যান মিজান বয়াতি উপস্থিত ছিলেন। শালিশে এরশাদ মোল্যা স্ত্রীকে ছেড়ে দিতে স্বীকৃতি জানায়। স্ত্রী পরিবারের লোকজন আপত্তি থাকায় শালিশে বউ রাখার পরামর্শ দেওয়া। এ নিয়ে চেয়ারম্যানের সাথে দ্বন্ধ সৃষ্টি হয়।
এ ব্যাপারে চেয়ারম্যান মিজান বয়াতির সাথে যোগাযোগের চেষ্ঠা করা হলে তিনি অসুস্থ্য থাকায় সম্ভাব হয়নি।